স্বাধীনতার তেপান্নে দূর হোক মানসিক দীনতা

 

ড. দেলোয়ার হোসেন

g

 

বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে স্বাধীনতা বজায় রাখা যে কোনো রাষ্ট্রের জন্যই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমান বিশ্বে আমরা যে ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে পাচ্ছি, যে বৈরিতা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ সেগুলোকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলেছে। অর্থাত্, আজকে আমরা যে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করছি, তাকে সাফল্যের মহাকাব্যই বলতে হয়

 

g

 

স্বা ধীনতার ৫৩তম বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করেছি আমরা। স্বাধীন বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরকাল এক নতুন অগ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই জনপদ। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অভ্যন্তরীণভাবে অত্যন্ত দৃঢ় ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে আজকের বাংলাদেশ। বৈশ্বিক পর্যায়েও অভূতপূর্ব সাফল্যের জয়জয়কার। সত্তর বা আশির দশকে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেভাবে ‘একটি দুর্বল দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হতো এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশের উপনিবেশ হিসেবে উপস্থাপন করা হতো কিংবা একধরনের ভৌগোলিক নির্মমতার স্বীকার হতে হতো, তা আমরা উলটে দিতে পেরেছি। বলা যায়, ভূরাজনীতির প্রশ্নে ‘প্যারাডাইম সিস্ট’ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। আজকের দিনে ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে, তাকে পুঁজি করে নতুন প্রজন্ম নতুন ইতিহাস রচনা করবে আগামীর বিশ্বে—এ কথা বলতেই হয়। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র অর্ধশত বছরেই ‘বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্র’—এ ধরনের তকমাকে আমরা চিরতরে সমাহিত করতে পেরেছি—গর্ব করার মতো অর্জন বইকি! এই যে নতুন পরিচয়ের বাংলাদেশ, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বড় ধরনের সম্ভাবনাময় জায়গা তৈরি হয়েছে, জাতি হিসেবে তা আমাদের পরম পাওয়া। স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করছেন তিনি, তা জাতির সামনে খুলে দিয়েছে অসামান্য উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দুয়ার। একসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন ছিল, তা আজ পূরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অভিধানে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিগণিত। অর্জিত হয়েছে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাও (এসডিজি)। এই যে বহুমুখী অর্জন, সেখান থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশের সামনে গুরুত্বপূর্ণ বছর হলো ২০৪১ সাল। ‘রূপকল্প-২০৪১’ অমিয় সম্ভাবনাময় ও বাস্তব লক্ষ্য হিসেবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে লাল-সবুজের বাংলাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা বুনছি, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট-এর মাধ্যমে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনযাপনে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। এসব কিছু একদিকে যেমন বিশ্বায়নের পরিবর্তন, অন্যদিকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে বাস্তবতা, তার নিরিখে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই স্বপ্ন দেখার ভিত্তি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অর্জনের ওপর দাঁড়িয়েই। যে নতুন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ আমরা দেখছি, তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব। এই সাহসী নেতৃত্ব শুধু অভ্যন্তরীণভাবে নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রশ্নেও বাংলাদেশকে শক্তিশালী অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান বিশ্বে এখন এক বিরল দৃষ্টান্ত। আজ দেশের যে কূটনৈতিক অর্জন, তার পেছনে রয়েছে দূরদর্শী কূটনৈতিক কৌশল। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’, অর্থাত্ একটি জোট নিরপেক্ষ অবস্থান ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা বজায় রেখে চলা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যদিয়েই মূলত কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ‘ভারসাম্যপূর্ণ সক্ষমতা’ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই কূটনৈতিক দর্শনের মধ্যে রয়েছে স্বাধীন সত্তা, ভারসাম্য ও শান্তি                বজায় রাখা, যেগুলো আসলে মুখে বলা সহজ হলেও বাস্তবায়ন করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তা করে দেখিয়েছে সফলভাবে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।

আমরা দেখতে পাই, বর্তমান বিশ্বে একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে করোনা মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টা চলছে। এর বাইরেও বেশকিছু হটস্পষ্ট বা অস্থিতিশীলতার উদ্ভব ঘটেছে। এই অবস্থায় বিশ্বে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, যে ধরনের সংকট তৈরি হচ্ছে, যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে এবং বৃহত্ শক্তিগুলোর মধ্যে যে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, তার মধ্য দিয়েও বাংলাদেশ তার জোট নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে পেরেছে—এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ষাটের দশকে জওহরলাল নেহেরু, ফিদেল কাস্ত্রো নন অ্যালায়েন্ড মুভমেন্টের (ন্যাম) সূচনা করেছিলেন। গত শতকের ৬০-৬১ সালের বিশ্ব থেকে বর্তমান বিশ্ব অনেক বেশি জটিল ও বহুমাত্রিক। তদানীন্তন অধিকাংশ সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র তখনো বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে ওঠেনি। এর ফলে তাদের ওপরে যে চাপটা ছিল, তাকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ ছিল। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে স্বাধীনতা বজায় রাখা যে কোনো রাষ্ট্রের জন্যই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমান বিশ্বে আমরা যে ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে পাচ্ছি, যে বৈরিতা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ সেগুলোকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলেছে। অর্থাত্, আজকে আমরা যে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করছি, তাকে সাফল্যের মহাকাব্যই বলতে হয়।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে বিভিন্ন সেক্টরে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতিপূর্বে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের যে ধরনের অবস্থান ছিল তথা ‘ক্ষুদ্র রাষ্ট্র’, ‘একটি ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ’, ‘বন্যাপ্রবণ দেশ’, ‘দুর্যোগপ্রবণ দেশ’, ‘দরিদ্র দেশ’ প্রভৃতি তকমা থেকে বেরিয়ে এসে আজ আমরা ‘বৈশ্বিক মডেল’ হিসাবে দাঁড়াতে পেরেছি। বিশ্ব নেতৃত্ব বাংলাদেশকে আজ একবাক্যে ‘রাইজিং স্টেট’ হিসেবে স্বীকার করে থাকে। বলে রাখা দরকার, ‘মডেল’ শব্দটি নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে। মডেল মানে যে সব দেশের জন্য মডেল হতে হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। যাহোক, লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উন্নয়নশীল বিশ্বে বা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অবকাঠামোগত কিংবা সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে ধরনের চাপ থাকে, তা অতিক্রম করে একটি সফল কূটনীতি ও অর্থনীতি পরিচালনার যে সক্ষমতা দরকার, বিশেষ করে গত এক-দেড় দশকে বাংলাদেশ তা সাফল্যের সঙ্গে অর্জন করতে পেরেছে। সমপর্যায়ের অন্য কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে এটা করে দেখানো সম্ভব হয়নি বলে প্রতীয়মান। গত ১০ বছরের একটি ছোট পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। উক্ত সময়ে বাংলাদেশের সমপর্যায়ের দেশগুলোর জিডিপি বা অর্থনীতির আকার যেখানে বড়জোর দ্বিগুণ হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে চার গুণ! এই যে এক দশকে জিডিপির আমূল পরিবর্তন, এ-তো আমাদের জন্য ‘বিশাল অর্জন’। বিগত এক দশকে বাজেটের যে উন্নয়নের ইতিহাস, বিশ্বে তা এক বিরল দৃষ্টান্ত! বাংলাদেশ এটি করে দেখিয়েছে। এজন্য এসএসবিপির মতো বহু প্রতিষ্ঠান বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৫তম অর্থনীতির রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে। কিন্তু এর পরেও আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে যে স্বকীয় অবস্থান ও মর্যাদা অর্জন করেছে, সে অর্জনকে কিছু রাষ্ট্র মেনে নিতে স্বীকৃতি জানায় এমনকি বাংলাদেশের একশ্রেণির জনগণের মধ্যেও এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়—কী অদ্ভুত কথা! এটা ‘সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন’ নিঃসন্দেহে। এর কারণে কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জর মুখে পড়তে হয় বটে। এই অবস্থায় আরো বেশি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরিতে মনোনিবেশ করা দরকার। শিক্ষা-গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের মতো বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। এতে করে দেশে যে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে, অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে, তা স্থায়িত্ব পাবে এবং তার মাধ্যমেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বা ‘রূপকল্প-২০৪১’-এর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হব। অবশ্য সাম্প্রতিক বাংলাদেশের মূল সুর এটাই।

আজকের বাংলাদেশকে রোল মডেল বলার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাজ করেছে—‘কানেকটিভিটি’। নব্বই বা ২ হাজারের দশকেও কানেকটিভিটি নিয়ে তেমন একটা আলোচনা ছিল না। কিন্তু গত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ শুধু অভ্যন্তরীণভাবেই নয়, বরং গোটা উপমহাদেশকেই কানেকটিভিটির আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ তো বটেই, এই অঞ্চল এখন পুরো বিশ্বের সঙ্গেই নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। দেশের জন্য এ এক নতুন সক্ষমতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বিশ্বময়। যার শুরুটা হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ট্রানজিট নিয়ে, তা আজকে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায় অতিক্রম করেছে—এ সংবাদ আনন্দের। অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো নির্মাণেও অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ২৫ জুন নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করে সক্ষমতার ‘নয়া অধ্যায়’ উদ্বোধন করেছি আমরা। বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ব্যতিরেকে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আধুনিক বিশ্বে সক্ষমতার বড় দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাশাপাশি কর্ণফুলী টানেল, স্বপ্নের মেট্রোরেল নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ শত শত ব্রিজ-কালভাট নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। বলা বাহুল্য, কানেকটিভিকে এভাবে শক্তিশালী করার ফলে দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বে যা অনেক বেশি জরুরি।

আমাদের চিন্তা ও মনজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যেভাবে চিন্তা করেন, জনগণের মধ্যেও সে ধরনের ভাবনা থাকা উচিত। ‘আমরা একটি উন্নত ও পরিবর্তনশীল বাংলাদেশকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি’—এ ধরনের চিন্তা-চেতনা ধারণ করতে হবে সবাইকে। আমাদের স্বাধীনতার যে স্বপ্ন, সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্নের পথ গত এক দশকে অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো আমাদের মানসিক দীনতা দূর হয়নি! যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বা প্রজেক্টের জন্য আমরা উন্নতদেশগুলোর প্রশংসা করি, একই ধরনের অবকাঠামো যখন বাংলাদেশে নির্মাণ করা হয়, তখন একটি শ্রেণি সমালোচনার তীর হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে—এমনটা কেন হবে! এ ধরনের মানসিক দীনতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এটাই হোক স্বাধীনতার বড় শিক্ষা।

 

লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সদস্য, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক